হাওর বার্তা ডেস্কঃ চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী ও বিলের উৎসমুখে অবৈধ সোঁতি বাঁধ স্থাপন করে চলছে মৎস্য নিধন। নদ-নদী ও বিল থেকে পানি নামার সময় প্রতিবছরের মতো এবারও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই মাছ শিকারের মহা উৎসবে মেতে উঠেছে। উপজেলা প্রশাসন বেশ কয়েকবার সোঁতি বাঁধ স্থাপনে বাধা দিলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মৎস নিধন যজ্ঞে মেতে উঠেছে কতিপয় প্রভাবশালী নেতারা। রাজনৈতিক মর্তাদর্শ আলাদা হলেও সোঁতি বাঁধ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে মাছ শিকার করতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছে জেলেরা। ব্যাহত হচ্ছে নৌ-চলাচল।
দেখা গেছে, উপজেলার ছাইকোলা, নিমাইচড়া, হান্ডিয়াল, ডিবিগ্রাম এলাকার বিভিন্ন নদ-নদী ও বিলের উৎসমুখে বাঁশ, পলিথিন ও জাল দিয়ে ঘিরে নিদিষ্ট একটি স্থান দিয়ে পানির স্রোত সৃষ্টি করা হচ্ছে। সোঁতি বাঁধ স্থাপনের ফলে পানি সহজে বের হতে পারছে না। সেই সঙ্গে সোঁতি জালে কাঁকড়া, শামুক থেকে শুরু করে কৃষি জমির জন্য উপকারী কীটপতঙ্গ জালে উঠে আসছে। উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত গুমানী নদী, করতোয়া নদী, কাটা গাঙ, জিওল গাড়ির জোলা, ছাওয়াল দহ সহ চলনবিলের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে অবৈধ সোঁতি বাঁধ।
একদিকে দেশীয় প্রজাতির সকল প্রকার ছোট-বড় মাছ নিধন করা হচ্ছে নির্বিচারে। অপরদিকে পানি নামতে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে কৃষকের। উপজেলা মৎস্য দপ্তরের পরোক্ষ সহযোগিতায় এই অপকর্ম চলছে বলে একাধিক সূত্র জানায়। উপজেলা প্রশাসন কয়েকটি সোঁতি বাঁধে অভিযান চালিয়ে বাঁশ ও জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেললেও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পুনরায় বাঁশ পুঁতে সোঁতি জাল স্থাপন করে মাছ শিকার শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অবৈধ সোঁতি বাঁধগুলো অপসারণের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সোঁতি বাঁধ উচ্ছেদ করেছি। কোন জায়গায় সোঁতি বাঁধ স্থাপন করতে দেয়া হবে না। সবগুলো সোঁতি বাঁধ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে জানান।